ঘটনাটি ময়মনসিংহের ১৪ বছর আগের।
হঠাৎ একদিন রওশনকে দেখে মুগ্ধ হন সোহেল। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন মেয়েটি হাঁটতে পারেন না। জানার পর সোহেলের মুগ্ধতা আরো বেড়ে যায় রওশনের প্রতি। শুরু হয় প্রেম।
প্রেমের বিষয়টি জেনে স্বজনরা রওশনকে বলেছিল প্রেম শেষ হয়ে গেলেই পালিয়ে যাবে ছেলেটি। স্বজনদের এ ভাবনাটা যে অমূলক ছিল তা কিন্তু নয়। কারণ চারপাশে ঠুনকো বিষয়ে তারা শেষ হয়ে যেতে দেখেছে অনেক মজবুত সম্পর্কও। সেইসব অভিজ্ঞতা থেকেই রওশনকে সাবধান করেছিলেন তারা।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্বজনদের ভাবনার উল্টোটা ঘটেছে। প্রেমিকা রওশনকে বিয়ে করেছে সোহেল। ১৪ বছর ধরে তারা মুগ্ধতার সঙ্গে সংসার করছে।তাদের ঘরে এখন ফুটফুটে একটি মেয়ে। ১৪ বছর ধরে স্বামী সোহেলের পিঠের সঙ্গী রওশন। স্বামীই তার প্রধান বাহন। যেকোনো জায়গায় স্বামীর পিঠে উঠে চলে যায় রওশন। এ সমাজে বহু বুক ভরা ভালোবাসা নিমিষেই শেষ হতে দেখেছি আমরা। কিন্তু ১৪ বছর হলো পিঠ ভরা ভালোবাসায় ক্লান্ত হতে দেখিনি এক পুরুষকে। স্ত্রী হিসেবে রওশনের মতো ভাগ্যবান এবং স্বামী হিসেবে সোহেলের মতো ভরসার পুরুষ এ সমাজে এখন নেই বললেই চলে। আজীবন ভালো থাকুক ওরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।